৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ বুধবার সকালে কিশোরগঞ্জে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসন,সমাজসেবা কার্যালয়, প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আয়োজনে সরকারি শিশু বালিকা সদন থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। বাংলা ইশারা ভাষার প্রসার করি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি প্রতিবাদ্যাকে সামনে রেখে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ। জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে দিসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অতিথির আলোচনা করেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক রুবেল মাহমুদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা:মাহবুবুর রহমান। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মিঠুন চক্রবর্তী। প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কনাসালটেন্ট ডাঃ দ্বীন ইসলাম নয়নের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ শহীদুল্লাহ, শাহ নাজ পারভীন, সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসার আল আমিন, সমাজসেবা অফিসার শফিকুল ইসলাম, অ্যাড মায়া ভৌমিক, মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি আমিনুল হক সাদী, মুক্তা পানির ডিলার সৈয়দ ইয়াছিন,এড.আল আমিন প্রমুখ। সভায় বক্তারা ইশারাভাষী জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে ‘বাংলা ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট’ স্থাপনের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। বক্তারা বলেন শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী মানুষদের স্বতন্ত্র এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ জীবন অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাংলা ইশারা ভাষা। প্রতিবন্ধিতার কারণে এই ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় তাদের যোগাযোগের কোন সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে পহেলা ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে বাংলা ইশারা ভাষাকে অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি ঘোষণা দেন। এরপর থেকেই প্রতিবছর ৭ ফেব্রুয়ারি দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। সভাশেষে অতিথিগণ বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে হুইল চেয়ার ও সহায়ক উপকরণ বিতরণ করেন। এ সময় জেলা প্রশাসন, সমাজসেবা অধিদপ্তর, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিগণ, জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস